পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি জোরশোরে শুরু হয়েছে। এ বছর জুনের শেষের দিকে সেতুটির উদ্বোধন করা হবে। তবে উদ্বোধনের দিন এখনো নির্ধারণ হয়নি। আগামী ২৩ বা ২৫ জুন উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক কাজ এগিয়ে নিচ্ছে সেতু বিভাগ। ইতোমধ্যে মূল সেতুর কাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। এদিকে চলতি মাসের মধ্যেই পদ্মা সেতুতে আলো জ্বালানোর পদক্ষেপ নিতে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সেতু বিভাগের সচিব মনছুর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, গাড়ি চলাচলের জন্য আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। তবে সেতু উদ্বোধনের দিন এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনে সেতু বিভাগ বেশ কিছু উপকমিটি গঠন করেছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সেতুটির উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় ভাষণ দেবেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এদিকে চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে আলো জ্বালানোর জন্য পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ জুনের মধ্যে সেতুটির কাজ শেষ হবে এবং এর মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে মূল সেতুতে ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ৩০ মের মধ্যে সরবরাহ করতে হবে। এ বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে জমা দেওয়া হয়েছে। একইদিন একইভাবে শরীয়তপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিকে চিঠি দেওয়া হয়। পদ্মা সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। সূত্র জানায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মূল সেতুর শেষ মুহূর্তের কাজ করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেতু বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান-প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিশিষ্ট রাজনীতিক ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। সেতুর নির্মাণকাজ শুরুর আগে থেকেই এ প্রকল্প দেশে-বিদেশে আলোচিত হয়। এজন্য অনুষ্ঠান যতটা সম্ভব আকর্ষণীয় করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা সরাসরি ঢাকার সঙ্গে যুক্ত হবে। বর্তমানে যানবাহনকে ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিতে হয়।
সূত্র : যুগান্তর